কার্তিকশাইল আমন মৌসুমের ধান। আমণ ধানের মধ্যে এই ধান আগেই ওঠে, অর্থাৎ কার্তিক মাসেই ওঠে বলে কৃষকরা কার্তিক শাইল নামকরণ করেছেন। ধানের বৈচিত্রতায় আমাদের বাংলাদেশ বিশ্ব সেরা। প্রত্যেক জাতের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট এবং চালের গঠন স্বাদে রয়েছে ভিন্নতা। এই ধান অন্য আমন ধানের আগে ঘরে আসে তাই কৃষকরা আকাল (অভাব) তাড়ানো ধানও বলে। শুধু তাই নয় অগ্রহায়ণ মাসে নয়া ধান নিয়ে পিঠা খেতে চাইলে কার্তিক শাইল ছাড়া উপায় নেই। কার্তিকশাইল ধানের চাল ফুল ফাইবারযুক্ত দেখতে হালকা কালচে লম্বাটে গোলাকৃতির। চাল মাঝারী সাইজের হয়। ভাত রান্না করলে মিষ্টি ঘ্রান আসে। ভাত, চিড়া, পিঠা খুব ভাল হয়। পিঠার মধ্যে ভাপা, চিতই,পাটি সাপটা খুব ভাল হয়। কার্তিক শাইল ধান ঘরে উঠলে প্রথমেই কৃষকরা এই চাল দিয়ে,নতুন খেজুরের গুড় দিয়ে ক্ষির রান্না করে খায়।
লালচে রঙের এই চাল লাল চালের একটি ধরণ। শস্য প্রবর্তনায় ঢেঁকি ছাটা কার্তিকশাইল চাল পাওয়া যায়। ঢেঁকিতে ছাটা চালে আঁশের পরিমাণ বেশি থাকে এবং খেতেও বেশ সুস্বাদু হয়। আঁশযুক্ত চাল রান্নার ক্ষেত্রে ভাতের মাড় না ফেলাই উত্তম এতে পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ থাকে। বাচ্চাদেরকে ছোটবেলা থেকেই লাল চাল খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
ডাইবেটিস রোগীরা কেনো আঁশযুক্ত চাল খাবেন ?
“আঁশযুক্ত লাল চালে রয়েছে নিম্ন গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ফলে হজমের পর চাল থেকে সুগার কম হারে নিঃসরিত হয়। ফলে হুট করেই রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় না এবং ভালোভাবে দেহে শোষিত ও অপসারিত হয়। অন্যদিকে আশঁবিহীন মেশিনে ছাঁটা সাদা চালে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) যা সহজেই ব্লাডে সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং চর্বি জমায়।” অতএব যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের জন্য আঁশযুক্ত চাল খাওয়াই উত্তম।